বাংলা আর বাঙালি যতদিন থাকবে, চেতনার গহীনে লালিত হবে মুক্তিযুদ্ধ। তাইতো অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি নবীনদের আলোকিত করছে মুক্তিযুদ্ধের বই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি অনুগত আর সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত বইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
পুরানো ঢাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে এসেছেন বই মেলায়। ঘুরে ঘুরে দেখছেন মেলার বিভিন্ন স্টল। থরে থরে সাজানো অসংখ্য বইয়ে ভিড়ে বাবা ও মেয়ের ঘুরে ফিরে চোখ আটকে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ের দিকে। জাকির হোসেনের মত এমন অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের নিয়ে আসছেন মেলায়। শিল্প সংস্কৃতি বিজ্ঞান কিংবা সাধারণ জ্ঞান শুধু নয়। ছড়ায় কিংবা গল্পে নিজের শেকড়কে চেনাতে অনেক বাবা-মা’ই ঝুঁকছেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ বইয়ের স্টলগুলোতে।
মেলায় আগত কয়েকজন শিশু বলে, অনেক বই কিনব। মুক্তিযুদ্ধ ও গল্পের বই কিনব।
বাঙালির সর্ব শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। এই ত্যাগের ইতিহাস আর আবেগ প্রকাশিত হয় বইয়ের পাতায় ছাপার অক্ষরে। কিন্তু নানা বিষয়ের ভিড়ে প্রকাশকদের কাছে কতটুকু গুরুত্ব পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই? যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। তবে তা হতে হবে আকর্ষণীয় আর সহজবোধ্য।
কয়েকজন লেখক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়গুলো শিশুদের পড়ানো উচিত, এতে করে তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। তাদের সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়তে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত বইগুলো তাদের পড়াতে হবে।
আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি বলেন, আমাদের স্টলে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনেক বই আছে।
যে চেতনার উপর ভর করে বাঙালি পেয়েছিল স্বাধীনতা, তা ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধের বই হতে পারে অন্যতম অনুষঙ্গ।